আজকের আলোচনার বিষয় “পুনর্বীমা কার্যকরীকরণের পদ্ধতি সমূহ ” যা সামাজিক ও অন্যান্য ধরনের বীমাসমূহ অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
পুনর্বীমা কার্যকরীকরণের পদ্ধতি সমূহ
স্বাভাবিকভাবেই কোন চুক্তি গঠনের পরে যথাসময়ে পক্ষসমূহ কর্তৃক চুক্তি মোতাবেক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন তথা চুক্তি পালন বা সম্পাদনকেই উক্ত চুক্তির কার্যকরীকরণ বুঝায়। কিন্তু, বীমা চুক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণেই এর কার্যকরীকরণ প্রক্রিয়াটি প্রকৃতিগতভাবে বলা যায় চুক্তি গঠন থেকেই শুরু হয় । কেননা, তখন থেকেই বীমাপত্রধারী তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন বা সম্পাদন করে থাকেন।—অর্থাৎ, বীমাকিস্তি বা সেলামী দিয়ে থাকেন।
যাই হোক, সাধারণ অর্থে আমরা মূলতঃ ঘটনা অথবা দুর্ঘটনা ঘটলে বীমাপত্রধারী ও পুনবীমার ক্ষেত্রে বীমাপত্রধারী এবং সাথে সাথে মূল বীমাকারী- অর্থাৎ, পরবর্তীতে বীমাকৃত প্রতিষ্ঠান বীমাদানী বা ক্ষতিপুরণ দাবী করে থাকেন।বীমাপত্রধারী অথবা বীমাপত্রধারীগণ যে বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে থাকেন, সে বীমা প্রতিষ্ঠান তার ঝুঁকি লাঘবের জন্যে উষ্ণ বীমাচুক্তির বিষয়বস্তুর অংশ বিশেষ যা সম্পূর্ণটাই অন্য কোন বৈদেশিক বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে পুনরায় বীমাকৃত করার সময় থেকেই মূলতঃ পুনর্বীমা চুক্তি সম্পাদন বা কার্যকরীকরণ শুরু হয়।

কেননা, তখনই একপক্ষ অর্থাৎ মূল বীমা প্রতিষ্ঠান পুনর্বীমাকারীকে প্রিমিয়ামের নির্দিষ্ট অংশ বা পরিমাণ পুনর্বীমার সেলামী হিসেবে প্রদানের মাধ্যমে চুক্তির দায়িত্ব পালন শুরু করেন।এরপর ঘটনা ( জীবন বীমার ক্ষেত্রে) অথবা দুর্ঘটনা ( অগ্নিবীমা বা অন্যান্য সম্পত্তি বীমা বা সাধারণ বীমার ক্ষেত্রে) সঙ্ঘটিত হলে বীমাদাবী পেশ করতে হয়। প্রথমেই মূল বীমাপত্রধারী বা বীমাপত্রধারীগন ক্ষতির পরিমাণ বা যথার্থ বীমাদারী যথারীতি নিরূপণ করে মূল বীমাকারীকে প্রদান করলে মূল বীমাকারী তা পুনর্বীমাকারার বরাবর পেশ করেন।
এমতাবস্থায়, পুনর্বীমাকারী তার যথার্থতা যাচাই সাপেক্ষে বীমাদাবী মিটিয়ে দেন। তবে, এ পর্যায়ে প্রথম বীমাকারী বীমাদাবী সঠিক বা যথার্থ হয়েছে বলে মনে করলে বীমাপত্রধারীকে বীমাদাবী মিটিয়ে পুনর্বীমাকারী এ বিষয়ে যথারীতি অনুসন্ধান বা সরজমিন হাজির পূর্বক যাচাই করে দাবীপুরণ করবেন।সংক্ষেপে এবং সাধারণভাবে এই হচ্ছে পুনর্বীমা কার্যকরী করণের প্রক্রিয়া বা পন্থা।
আরও দেখুনঃ