Site icon Insurance Gurukul [ বীমা গুরুকুল ] GOLN

মৃত্যুহার পঞ্জির কাল ভিত্তিক শ্রেণী বিন্যাস

মৃত্যুহার পঞ্জির কাল ভিত্তিক শ্রেণী বিন্যাস

মৃত্যুহার পঞ্জির কাল ভিত্তিক শ্রেণী বিন্যাস – এই পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের ” মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকা” বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।

মৃত্যুহার পঞ্জির কাল ভিত্তিক শ্রেণী বিন্যাস

 

১। প্রাথমিক বা প্রাচীন মৃত্যুহার পঞ্জি Early Mortality Table আধুনিক যে মৃত্যুহার পঞ্জিগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে, স্বাভাবিক কারণেই তা এক সময়ে এরূপ উৎকর্ষিত রূপে ছিল না। তার একটি প্রাচীন ও প্রাথমিক রূপ ছিল এবং তার উদ্ভব ঘটেছিল অনেকটা অস্পষ্টভাবে সে সময়ে মৃত্যুহার পঞ্জি প্রস্তুত করার জন্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হতো সমাধিক্ষেত্রে সংরক্ষিত রেজিষ্টার থেকে অথবা অন্য কোনভাবে।

কিন্তু, এ ধরনের তথ্য ছিল যেমন একান্তই অপর্যাপ্ত তেমনি ত্রুটিযুক্ত। এ সব তথ্য থেকে প্রস্তুতকৃত মৃত্যুহার পঞ্জি সঙ্গত কারণেই নির্ভরযোগ্য হতো না। তথাপি, এছাড়া তেমন কোন উপায়ও ছিলনা। সে সময়ে প্রস্তুতকৃত মৃত্যুহার পঞ্জিগুলোকে প্রাচীন বা প্রাথমিক মৃত্যুহার পঞ্জি বলা হয়। সেগুলোর মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নে সন্নিবেশিত হলো : –

 

 

(ক) হ্যালী মৃত্যুহার পঞ্জি (Halley Motality Table) :

জার্মানীর ব্রেসলো শহরের সমাধিক্ষেত্রে সংরক্ষিত রেজিষ্টার থেকে ১৯৮৭ থেকে ১৭০৭ সাল অবধি অন্যাদি দিয়ে বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ এডমণ্ড ্যাপী একটি মৃত্যুহার পরি প্ররত করেনযা হ্যালী মৃত্যুহার পঞ্জি নামে খ্যাত।

 

(খ) গ্রন্ট মৃত্যুহার Gেraunt Mortality Table) :

ক্যাপ্টেন গুজ ১৭২৮ থেকে ১৭৩৭ সাল নাগাদ লণ্ডনের মৃত্যু বিলগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই মৃত্যুহার তালিকাটি প্রস্তুত করেন। তার নামানুসারে এটিকে গ্রন্ট মৃত্যুহার তালিকা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

 

 

(গ) নর্থাম্পটন মৃত্যহার পঞ্জি (Northumpton Mortality Table) :

নর্থাম্পটন শহরের মৃত্যু রেজিষ্টার থেকে ১৭৫৩ থেকে ১৭৮০ সাল পর্যন্ত তথ্য দিয়ে একটি মৃত্যুহার পঞ্জি তৈরী করা হয় যা নর্দাম্পটন মৃত্যুহার গঞ্জি মাে অভিহিত।

উপরোক্ত তিনটি সহ সে সময়কার প্রায় সবগুলো মৃত্যুহার পরিই ছিল ত্রুটিযুক্ত। কেননা, এগুলো –

(i) খুব অল্প পরিসর ও সময়ের তথ্য ভিত্তিক ছিল এবং

(II) শুধুই মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য থেকে এগুলো প্রস্তুতকৃত হতো। ফলে, মৃত্যুহার পঞ্জিতে জীবিতের হার সম্পর্কে কোন কলাম তৈরী করতে চাইলেও তা করা সম্ভব হতো না। আর, একারণেই তখন একটি সাধারণ ধারণা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ও জন্মের সংখ্যা সমান ধরে নেয়া হতো যা আদৌ ঠিক নয়।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

উপরন্তু, মানুষের শরীর-স্বাস্থ্য যে সব সময় একই রকম থাকে না এবং দেশ ত্যাগ বা অন্যবিধ কারণে যে জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটতে পারে—এ সব বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্যাদির প্রেক্ষিতে এসব মৃত্যুহার পঞ্জিগুলি প্রস্তুতকৃত হয়নি। সুতরাং, মানুষ আরও ব্যাপক সময় ও পরিসর ভিত্তিক মৃত্যুহার পঞ্জি প্রস্তুত করার জন্যে সচেষ্ট হতে থাকে। ফলে, তার পরবর্তী সময়ে কিছুটা অগ্রগতি সাধিত হয় এবং নতুন নতুন পন্থা উদ্ভাবিত হয়। এতে, মৃত্যুহার পঞ্জিও সমধিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আসতে থাকে।

 

আরও পড়ুনঃ

Exit mobile version