কেন ঝুঁকি পরিমাপ করা হয় ? – পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের “ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” অধ্যায়ের একটি পাঠ। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, মানুষের জীবন ও সম্পদ সম্পত্তি সৃষ্টির আদি থেকেই প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট অনিশ্চয়তা এবং বিপদ বিপত্তির আয়তাধীন রয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই তাই, মানুষ প্রতিনিয়ত থাকে প্রাপ্তি ও হারানোর অনিশ্চয়তা এবং দুঃখবোধে অস্থির ও দুর্ভাবনাগ্রস্ত। অপুরণীয় কোন ক্ষতির কথা ভাবতে গেলেও যেন মানুষ আৎকে ওঠে। আর, সেকারণেই মানুষ চায় অনাকাঙ্খিত কোন বিপদ বিপত্তি তথা তজনিত কারণে কোন ক্ষতির সম্ভবনা বা ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচতে অথবা ঝুঁকিকে হালকা করতে।
কেন ঝুঁকি পরিমাপ করা হয় ?
এই ঝুঁকির বিরুদ্ধে মোকাবেলার জন্য আধুনিক মানুষ এক চমৎকার পন্থা বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে যা বীমা নামে অভিহিত। বীমাকারী বা বীমা প্রতিষ্ঠান বীমাগ্রহীতাকে পারস্পরিক চুক্তিবলে ঝুঁকির বিরুদ্ধে নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে আর্থিক প্রতিদান বা সেলামী অথবা কিস্তির বিনিময়ে।
স্বভাবতঃই বীমা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী অথবা বীমাকারী ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ বা ঝুঁকি পরিমাপ করার উপায় বের করেছে কালক্রমে। কেননা, ঝুঁকি পরিমাপ করতে না পারলে তথা ঝুঁকি কতটা অথবা বেশী না কম তা বুঝতে না পারলে কিস্তি বা সেলামীইতো নির্ধারণ করা যাবে না। আর্থিক ক্ষতির অনিশ্চয়তা বা ঝুঁকি বেশী হলে বীমা সেলামী বা কিস্তিও বেশী হবে। আর, ঝুঁকি কম হলে বীমা সেলামীও কম হবে।
সুতারাং, বীমাকারীকে প্রস্তাবিত বীমাগ্রহীতার সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হলে প্রথমেই দরকার বীমাগ্রহীতার ব্যক্তিগত বা সম্পদ সম্পত্তিগত আর্থিক ক্ষতির অনিশ্চয়তা বা ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা। তা না হলে, চুক্তিই সম্পাদন করা যাবে না, যদিও বা যায় এরূপ হতে থাকলে বীমা প্রতিষ্ঠানই এক সময় বিফলকাম হয়ে কারবারী কার্যক্রম মোদ্দাকথা এই যে, প্রস্তাবিত বীমাগ্রহীতার উপর বীমাকারী কর্তৃক বীমা সেলামী বা কিস্তি নির্ধারণ করার জন্যেই ঝুঁকি নিরূপণ বা মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে (The Risks are measured or evaluated for fixation of premium to be charged by the insurer. M N. Mishra).
আরও পড়ুনঃ