জীবন বীমা কর্পোরেশন – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের “জীবন বীমা” বিভাগের একটি পাঠ। জীবন বীমা এমন একটি চুক্তি যা একজন বীমা গ্রহীতা ও একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত হয়; যেখানে বীমা প্রতিষ্ঠান এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে বীমা গ্রহীতার মৃত্যু হলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বীমা গ্রহীতার উত্তরাধিকারীকে প্রদান করবে। বীমাপত্রসমূহ চালু করেছে:
(১) পেনশন বীমাপত্র
(২) গ্রামীন জীবন বীমা
(৩) পারিবারিক নিরাপত্তা বীমা
(৪) পারিবারিক পেনশন বীমা
(৫) নিশ্চিত বোনাস মেয়াদী বীমা
(৬) দ্বৈত- নিরাপত্তা মেয়াদী বীমা
(৭) তিন দফা প্রদান পরিকল্পনা বা তিন কিস্তি বীমা ( যা প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা নামে প্রচলিত)
এর মধ্যে পেনশন বীমা এবং গ্রামীন জীবন বীমাই দেশীয় প্রেক্ষিতে সমধিক ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বীমাপত্র। প্রসঙ্গতঃ পেশীমা সম্পর্কেই শুধু জীবন বীমা কর্পোরেশন যেমন করে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রচার করেছে, তদ্রূপ বিবরণ প্রদান করা হলো।
জীবন বীমা কর্পোরেশন
ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসি :
জীবন বীমা কর্পোরেশন যে উদ্দেশ্য নিয়ে পেনশন বীমা পলিসি চালু করেছে, কর্পোরেশন এ বীমাপত্রের মাধ্যমে গ্রাহকদের যে সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি যেভাবে তুলে ধরেছে নিম্নে সেভাবেই তা সন্নিবেশিত করা হলো : পেশাজীবী ও কর্মজীবী মানুষ স্বভাবতঃই অবসর জীবনে নিরুদ্বেগ স্বচ্ছল শান্তিময় দিন যাপনের নিশ্চয়তা চান।
পরিণত বয়সে যখন নিয়মিত আয়ের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না,পেনশন বীমা পলিসি ঠিক তখনই নিয়মিত মাসিক অর্থাগমের ব্যবস্থা করে। অবসর জীবনের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরী করা হয়েছে আমাদের পেনশন বীমা পরিকল্পনা। যে কোনো পেশায় নিয়োজিত মানুষ এই পলিসি নিতে পারেন। এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো কর্মজীবনে অকাল মৃত্যুতে পরিবারের জন্য বীমার নিরাপত্তা বিধান – যা অন্য কোনো সঞ্চয় মাধ্যমে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ