ঝুঁকির ক্ষেত্রে নৌ বীমা | ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা | বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

ঝুঁকির ক্ষেত্রে নৌ বীমা | ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা,  বীমাগ্রহীতার ব্যক্তিগত বিবরণ : বীমাকারী নৌ বীমাচুক্তি করার আগে প্রথমেই সম্ভাব্য বা প্রস্তাবিত বীমাগ্রহীতার ব্যক্তিগত বিবরণ (নাম, ঠিকানা, কারবার, স্বভাব-চরিত্র ইত্যাদি) সম্পর্কে জেনে নিবেন। কেননা, অসত্য বা ভুয়া তথ্য উপস্থাপনজনিত কারণে প্রতারিত হয়ে সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন আর, বীমাগ্রহীতার অসাধুতার কারণে বীমাকারীর ঝুঁকি অহেতুকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। সুতরাং এ বিষয়ে বীমাকারীকে অবশ্যই সাবধান হতে হয়।

ঝুঁকির ক্ষেত্রে নৌ বীমা | ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা | বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

 

ঝুঁকির ক্ষেত্রে নৌ বীমা | ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা | বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

 

নৌ-যানের বিবরণ :

নৌ-বীমার চুক্তি করার প্রাক্কালে বীমাকারী অথবা তার বৈধ প্রতিনিধি বীমাচুক্তির বিষয়বস্তু নৌ-যানটির সঠিক ও বিস্তারিত বিবরণ ( নৌযানের নাম, অবস্থান, ধরন, কাঠামো, ধারণক্ষমতা এবং ক্ষমতানুযায়ী পণ্য বোঝাইয়ের পূর্ব-প্রমান ইত্যাদি বিষয়ে) জেনে নিবেন এবং সরজমিনে নৌযানটিকে দেখে নিবেন যাতে করে প্রতারিত বা অহেতুক ক্ষতির শিকার না হতে হয়।

পণ্য-সামগ্রী সম্পর্কিত বিবরণ ও অবগতি :

নৌ-বীমা চুক্তির বিষয়বস্তু যদি হয় একাধারে নৌ-যান এবং পণ্যসামগ্রী, তাহলেতো বটেই – আর, যদি শুধু পণ্যের জন্যেও হয় তাহলেও বীমাকারীকে নৌ-যানের সাথে সাথে পণ্য সামগ্রীর প্রামান্য দলিলপত্র সহকারে পণ্যের পরিমাণ, প্রকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে ও মিলিয়ে নিবেন। আর যদি নৌযানের সম্যক পণ্যের জন্যে না হয়ে আংশিক পণ্যের জন্যে নির্দিষ্ট বীমাকারীর সাথে বীমাচুক্তি হয়, তাহলে বীমাকারী শুধু বীমাকৃত পণ্য সম্পর্কেই জেনে ও দেখে নিবেন। দেখে নিবেন, পণ্যসামগ্রী যথাযথভাবে রাখা হয়েছে কিনা এবং পণ্যটি দাহ্য প্রকৃতির কিনা।

 

insurancegoln Google news
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

নৌ-যান বা জাহাজের চলাচলযোগ্যতা :

নৌ-বীমাচুক্তি গঠন করার আগেই বীমাগ্রহীতার কাছ থেকে বীমাকারীকে এই মর্মে নিশ্চিত আশ্বাস অথবা ঘোষণা নিতে হবে যে, নৌ-যানটি চলাচলযোগ্য রয়েছে। জাহাজের অথবা নৌ- যানের উপযুক্ত কাপ্তান বা চালক, লোক-লস্কর, প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জাম ইত্যাদি আছে কিনা— কলকব্জা, যন্ত্রাদি ঠিক চালু আছে কিনা এবং জাহাজ বা নৌ-যানটি ধারণক্ষমতা অনুযায়ী বোঝাই হয়েছে কিনা এবং নির্ধারিত পথে যানটি চলাচলের যোগ্য কিনা – এসবই নৌযানের চলাচলযোগ্যতা নির্দেশ করে। এ বিষয়ে বীমাকারী বা বীমা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

চলাচলের পথ ও নৌ-যানের চলাচলের পথ অনেক, আর, অনেক বলেই প্রতিটি পথের সম্ভাব্য বিপদ-আপদ বা ঝুঁকি একই রকর্মের নয়। তাই, বীমাকারীকে দেখে ও জেনে নিতে হয়, পথ ও পথের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে। কেননা, তার উপরই অনেকটা নির্ভর করে সম্ভাব্য বীমাদাবী, ক্ষতি এবং বীমাসেলামীর পরিমাণ।

 

ঝুঁকির ক্ষেত্রে নৌ বীমা | ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা | বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

 

চলাচলের সময় ও পরিসর:

নৌ-যানটি কত সময়ের জন্যে চলতি যাত্রায় চলবে এবং কতটা পথ চলবে তা বীমাকারীকে জেনে নিতে হয় চুক্তির পূর্বাহ্নেই। তদুপরি, কোন্ ঋতুতে কি আবহাওয়ায় নৌ-যানটি চলবে সে সম্পর্কেও ওয়াকিফহাল হতে হয়। কেননা, এগুলি ঝুঁকির পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ।

বিবিধ:

উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও বীমাকারী বা বীমা প্রতিষ্ঠানকে অবস্থা ও চুক্তিভেদে অনেক বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন : – জাহাজটি কোন শত্রু দেশের সমুদ্র সীমার মধ্য দিয়ে চলবে কিনা, কোন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজমান কিনা ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment