মৃত্যুহার পঞ্জির শ্রেণীবিন্যাস – এই পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের ” মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকা” বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।
মৃত্যুহার পঞ্জির শ্রেণীবিন্যাস
বীমা হল অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট ঝুঁকির স্থানান্তর। এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা বীমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়ামের) বিনিময়ে মক্কেলের আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটি অনিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। মৃত্যুহার পঞ্জি প্রস্তুতকরণের উদ্দেশ্য Objective of constructing a Mortality Table মৃত্যুহার পঞ্জির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপ-শিরোনামে মৃত্যুহার প্রত্নতকরণের উদ্দেশ্য ব্যখ্যাত হয়েছে। তন্নিরীখেই পূণর্বার চলতি উপ-শিরোনামে উল্লেখ্য যে –
বীমাগ্রহীতাদের মৃত্যুহার সম্পর্কে একটি যথার্থ বা সঠিক ধারণা নেয়ার জন্যেই মূলতঃ মৃত্যুহার পঞ্জি প্রস্তুত করা হয়। অন্যদিক থেকে বলা যায় যে – বীমাগ্রহীতাদের জীবনে বিদ্যমান ঝুঁকি নিরূপণের অন্যতম একটি উদ্দেশ্যে মৃত্যুহার নিরূপণ করা। কেননা, ঝুঁকি নিরূপণের ক্ষেত্রে যে সব উপাদান প্রভাব বিস্তার করে তার মধ্যে মৃত্যুহার হলো একটি অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান (Factor)। সে যাই হোক, মোট কথা হল এই, মৃত্যুহার তথা মৃত্যুর সম্ভাবনা যদি বেশী হয় তাহলে ঝুঁকিও স্বভাবতঃই বেশী হয় এবং মৃত্যুহার কম হলে ঝুঁকিও কম হয়। আবার, ঝুঁকি বেশী হলে বীমা সেলামী বেশী হয় এবং ঝুঁকি কম হলে সেলামী বা কিত্তিও কম হয়।
সুতরাং অনুসিদ্ধান্তে বলা যায় যে, ঝুঁকি নিরূপনের তথা বীমা সেলামী নির্ধারণের চুড়ান্ত লক্ষ্যেই মৃত্যুহার বের করতে হয় এবং মৃত্যুহার বের করার উদ্দেশ্যে যথাযথাভাবে সংগৃহীত ও সমাবেশকৃত তথ্যাদি বিন্যস্ত করেই মৃত্যুহার পঞ্জি প্রস্তুত করা হয়।
মৃত্যুহার পঞ্জির শ্রেণীবিন্যাস
- Classification of Mortality Table
বীমা ব্যবসায়ের ক্রমোন্নতির সাথে সাথে স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যুহার পঞ্জি প্রস্তুতকরণেও উন্নতি সাধিত হয়েছে ক্রমাগতভাবে। বিভিন্ন ধরনের বীমাপত্রের কিস্তি নির্ধারণের লক্ষ্যে মৃত্যুহার নির্ণয়ের জন্যেই মৃত্যুহার তালিকা প্রস্তুতকরণে রকমফের সাধন করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ