মৃত্যুহার পঞ্জির প্রকৃতি ও কার্যভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস

মৃত্যুহার পঞ্জির প্রকৃতি ও কার্যভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের ” মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকা” বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।

 

মৃত্যুহার পঞ্জির প্রকৃতি ও কার্যভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস

প্রকৃতি ও কার্যভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস | মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকা | বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

মূলতঃ স্বাস্থ্যবান পুরুষদের তালিকার যথার্থতা ও উপযোগীতা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যেই এবং এভাবে প্রস্তুতকৃত মৃত্যুহার পঞ্জিটি আরও উন্নত করা যায় কিনা তা দেখার জন্যেই এ তালিকাটি প্রস্তুতকরণে উদ্যোগ নেয়া হয়। আর, এ জন্যে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত যত্ন ও পরিশ্রম সহকারে তথ্য সংগ্রহ করে কার্য সম্পন্ন করা হয়।

ষাটটিরও বেশী বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং লক্ষাধিক বীমাগ্রহীতার জীবন থেকে উপাত্ত গ্রহণ করে এ মৃত্যুহার পঞ্জি তৈরী কর হয়। ফলে, তা একটি প্রামাণ্য মৃত্যুহার পঞ্জি (Standard Mortality Table) হিসেবে গৃহীত হয় এবং স্বস্থ্যবান পুরুষদের মৃত্যুহার পঞ্জির পরিবর্তে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ব্যবহৃত হতে থাকে। (প্রতীক – Om)।

 

insurancegoln Google news
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

গণনা বিশেষজ্ঞদের মৃত্যুহার পঞ্জি (Actuaries Mortality Table) বৃটিশ বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহের মৃত্যুহার পঞ্জি দীর্ঘদিন যাবৎ চালু থাকার পরে নতুন পরিস্থিতির তাগিদ অনুযায়ী বৃটিশ গণনা বিশারদ সংস্থা (Institute of British Actuaries) আবার একটি নতুন ধরনের মৃত্যুহার পঞ্জি তৈরী করে। ১৯২৪ থেকে ১৯২৯ সাল নাগাদ প্রায় পঞ্চাশটি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে এ মৃত্যুহার পঞ্জিটি প্রস্তুত করা হয় যা ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত হয়। প্রতীক — ১৯২৪–৩১।

এ মৃত্যুহার পঞ্জি মৃত্যুহার নিরূপণের ক্ষেত্রে আর এক ধাপ উন্নতি নিশ্চিত করে। এ পঞ্জির সাহায্যে পরিদৃষ্ট হয় যে, ডাক্তারী পরীক্ষাকৃত ও পরীক্ষাবিহীণ জীবনের মধ্যে মৃত্যুহারের তেমন ফলাফল দৃষ্টেই পরবর্তীতে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই অনেক বীমাপত্র প্রদান করা শুরু হয়।

 

প্রকৃতি ও কার্যভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস | মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকা | বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

 

প্রকৃতি ও কার্যভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস [ Classification according to nature and function ]

মৃত্যুহার পঞ্জিকে আবার প্রকৃতি ও কার্যের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথাঃ-

১। আদর্শিক বা প্রামাণ্য মৃত্যুহার পঞ্জি

২। বাছাই মৃত্যুহার পঞ্জি,

৩। প্রান্তিক মৃত্যুহার পঞ্জি,

৪। সমষ্টি বা সংযুক্ত মৃত্যুহার পঞ্জি ইত্যাদি।

 

নিম্নে উক্ত মৃত্যুহার পঞ্জিগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদান করা হলো : –

১। আদর্শিক বা প্রামান্য মৃত্যুহার পঞ্জি (Standard Mortality Table) :

কোন একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের অতীত অভিজ্ঞতারা তথ্যাদির উপর ভিত্তি করে যদি মৃত্যুহার পঞ্জি তৈরী করা হয়, তাহলে তা থেকে নির্ভরযোগ্য বা যথার্থ মৃত্যুহার পাওয়া সম্ভব নয়, বরং, বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত অভিজ্ঞতা ও তথ্য-উপাত্ত থেকে প্রস্তুতকৃত মৃত্যুহার পঞ্জি স্বভাবতঃই অধিকতর নির্ভরযোগ্য হয়।

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment