জীবনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঝুঁকিসমূহ – পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের “ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” অধ্যায়ের একটি পাঠ।
Table of Contents
জীবনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঝুঁকিসমূহ
১. বয়স বৃদ্ধি ও মৃত্যুজনিত ঝুঁকি :
দু’টি স্বাভাবিক ও অবধারিত বিপদ মানুষকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায় তা হলো মানুষের বয়ঃবৃদ্ধি এবং মৃত্যু। কেননা, প্রতিটি মানুষের বয়স ক্রমাগত বাড়তেই থাকে এবং কোন এক সময় তার মৃত্যু হবেই। বয়স হয়ে গেলে মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে এবং রোজগারী ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবারের তথা পোষ্য বা নির্ভরশীলদের উপর নেমে আসতে পারে চরম আর্থিক সঙ্কট।
২. রোগ-ব্যাধিজনিত ঝুঁকি :
মানুষ যে কোন সময় রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে কেউ আয়-রোজগারের সুযোগ হারাতে পারেন কেউ চিরতরে অক্ষম হয়ে পরিবারের বোঝা হতে পারেন এমনকি, কেউ মারাও যেতে পারেন। এর ফলে, একটি পরিবার হয়ে পড়তে পারে ঋণ ভারাক্রান্ত, চরম অভাবগ্রস্ত এবং সহায় সম্বলহীন।
৩. কর্মহীনতাজনিত ঝুঁকি :
কর্মই হচ্ছে মানুষের জীবিকার উৎস ও উপায়। অথচ, সমস্যার এ পৃথিবীতে কোন মানুষ প্রত্যাশিত কোন কর্মসংস্থান নাও পেতে পারেন; আবার, পেয়েও যে কোন কারণে হারাতে পারেন। ফলে, তার এবং তার পোষ্যদের জীবন-জীবিকা হয় অনিশ্চিত ও সঙ্কটাপন্ন।
৪. দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি :
দুর্ঘটনা জীবন প্রবাহের সাথেই চলে। তাই, যে কোন মানুষ যে কোন মূহুর্তে কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পড়তে পারেন। আর, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মানুষ তার যে কোন অঙ্গ হারাতে পারেন, হারাতে পারেন। কর্মক্ষমতা এমনকি, হারাতে পারেন অমূল্য জীবন। ফলে, তার এবং নির্ভরশীলদের জীবন হয়ে পড়তে পারে চরম আর্থিক অনিশ্চয়তার অন্ধকারে নিমজ্জিত।
৫. জীবন-জীবিকা তথা ভরণ-পোষন, লালন-পালন ও জীবনে প্রতিষ্ঠার অনিশ্চয়তা-জনিত ঝুঁকি :
মানুষের জীবন-জীবিকা প্রতিনিয়ত থাকে এক অনিশ্চয়তার নিগড়ে আবদ্ধ। মানুষকে আজন্ম খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের জন্যে থাকতে হয় নিয়ত ব্যাপৃত। কেননা, অর্থ ছাড়া – আয়-উপার্জন ছাড়া জীবন জীবিকা চলে না। আবার, পোষ্য ও সন্তানদের ভরণ-পোষন, লালন-পালন এবং জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে প্রয়োজন হয় প্রচুর অর্থ ও রোজগারের। অথচ, এই আয়-রোজগারের ব্যাপারটি মোটেই নিশ্চিত ও সহজসাধ্য নয়। তাই, এসব ব্যাপারও মানুষের জীবনে আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণ তথা ঝুঁকির বিপুলায়তন প্রেক্ষিত।
আরও পড়ুনঃ