মৃত্যুহার পঞ্জির বৈশিষ্ট্যসমূহ – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের ” মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকা” বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।
Table of Contents
মৃত্যুহার পঞ্জির বৈশিষ্ট্যসমূহ
মৃত্যুহার-পঞ্জি বা তালিকা, মৃত্যুহার তালিকা বা পঞ্জির যে সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তা নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণিত হলোঃ-
১। নির্দিষ্ট বয়ঃক্রমের জনগোষ্ঠীর উপর পর্যবেক্ষণ (Observation on a particular age group of persons) :
মৃত্যুহার পঞ্জির মাধ্যমে কোন একটি নির্দিষ্ট বয়ঃক্রমের মানবশ্রেণীর উপর পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করা হয় এবং উক্ত শ্রেণীর ব্যক্তিদের নির্ধারিত বয়স অবধি বা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এ পর্যবেক্ষণ চলমান থাকে। এর কোন পর্যায়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে নতুনভাবে যেমন অন্তর্ভুক্ত করা যায় না, তেমনি কাউকে বাদ দিয়েও তা করা যায় না।
২। বার্ষিক নির্ণয়ন (Yearly estimation) :
মৃত্যুহার-পঞ্জির মাধ্যমে বার্ষিক মৃত ও জীবিতের হার নির্ণয় করা হয়।
৩। মৃত ও জীবিতের হার সম্পর্কে ধারণা নিতে ব্যবহৃত (Used to assume the mortality and survival rates) :
একটি নির্দিষ্ট বয়ঃক্রমের মানুষের বার্ষিক মৃত্যুহার অথবা জীবিতের হার সম্পর্কে ধারণা নেয়ার জন্যেই মৃত্যুহার-পঞ্জি প্রস্তুত করা হয়। প্রতিটি বছরের শুরুতে যত সংখ্যক জীবিত বীমাগ্রহীতা থাকে, তাদের মধ্যে যারা সে নির্ধারিত বছরে মারা যায়, তত সংখ্যক বীমাগ্রহীতা বছর শেষে স্বভাবতঃই কমে যায় এবং এভাবে হ্রাস পেতে পেতে যতক্ষণ পর্যন্ত না উক্ত নির্দিষ্ট শ্রেণীটির বীমাগ্রহীতার সংখ্যা শূন্যতে এসে দাড়ায় ততক্ষণ বা ততদিন পর্যন্ত এ পর্যবেক্ষণ চলতে থাকে।
৪| হাজার প্রতি হার নির্ণয় (To calculate the rate per thousand) :
মৃত্যুহার পরিতে হাজার প্রতি মৃত জীবিতের হার নির্ণয় করা হয়। কেননা, শতকরা হার নির্ণয়ে খুব বেশী ভগ্নাংশ হয় এবং এমনকি, একশ জনে কেউ হয়ত মানাই যা । এ কোন একটি নির্দিষ্ট বয়ঃক্রমে এর শুরু (It starts from a point) : মৃত্যুহার পরিতে হয় নির্ণয়নের জন্যে নির্দিষ্ট কোন বয়ঃক্রম থেকে হিসেব তথ্য পর্যবেক্ষণ কার্য শুরু করা হয়ে থাকে যা চলমান থাকে ঐ গ্রুপের সর্বশেষ ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত।
এ ছাড়াও মৃত্যুহার গঞ্জির আরও বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন: মৃত্যুহার-পঞ্জিকে একটি ছকে বিন্যস্ত করে প্রস্তুত করা হয়, এর মাধ্যমে একটি তথ্য চিত্র তুলে ধরা হয় ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ