মৃত্যুহার হিসেব করার পদ্ধতি – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের ” মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকা” বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।
মৃত্যুহার হিসেব করার পদ্ধতি
মৃত্যুহার পঞ্জি বা তালিকায় নির্দিষ্ট বয়ঃক্রমের সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর বীমাগ্রহীতাদের বীমাপত্র সমূহের মেয়াদের অন্তর্ভুক্ত বছর গুলির ক্রমানুযায়ী, যথাযথ কলামে জীবিত বীমাগ্রহীতাদের সংখ্যা ও তাদের বার্ষিক মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে হার নির্দেশ করাই, মৃত্যুহার পঞ্জির কাজ (এখানে পূর্বতন ছকটি বা অনুরূপ ছক ব্যবহার করা যেতে পারে)। এই মৃত্যুহার-হিসেব করার পদ্ধতি নিম্নরূপ :
মৃত্যুহার = বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা/সংশ্লিষ্ট বছরের শুরুতে জীবিত বীমাকৃত ব্যক্তিদের বা বীমাগ্রহীতাদের সংখ্যা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে উক্ত হার (বার্ষিক মৃত্যুহার) সব সহয় একইরূপ না হতে পারে। কেননা, সব বয়সের মানুষের মৃত্যুর হার স্বাভাবিক কারণেই এক নয়। তাছাড়া, অন্যান্য অনেক উপাদানই এর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যেমনঃ – আবাস, অভ্যাস, বংশ (রমচএ) ইত্যাদি যাই হোক, মৃত্যুহার নিরূপণের ফলাফলের বিভিন্নতার জন্যে দায়ী উপাদানগুলির মূল বিষয়গুলি হচ্ছে –

১। কোন বয়সের পুরো প্রজম্মগত চিত্র এতে থাকে না বরং, বিভিন্ন রয়েসের বিভিন্ন ব্যক্তির মৃত্যুহারই এ থেকে নিরূপিত হচ্ছে,
২। বিপুল সংখ্যক মানুষ এ হিসেবের আওতার নাও আসতে পারে এবং “। সব সময় তারিখ সংক্রান্ত নির্ভুলতা নিশ্চিত না হতে পারে।
সুতরাং, মৃত্যুহারে হ্রাস বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হতে পারে। তাই, এভাবে যার মৃত্যুহারকে অসংশোধিত বা অমার্জিত মৃত্যুহার (হরাম ওএমসিআই) বলা এ ধরনের অমার্জিত মৃত্যুহার দিয়ে বীমা সেলামী নির্ধারণ করা যথার্থ হয় না। তাই, এই অশোধিত হীরকে ক্রমান্বয়িত বা মাত্রাজিত করে নেয়া হয় থাকে মাত্রাঙ্কিত মৃত্যুহার (Graduated death rate) নামে অভিহিত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ