আজকের আলোচনার বিষয় “যুগ্ম বা দ্বৈতবীমা ” যা সামাজিক ও অন্যান্য ধরনের বীমাসমূহ অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
যুগ্ম বা দ্বৈতবীমা
কোন বীমাগ্রহীতা যদি একই বিষয়বস্তুর জন্যে একই সময়ে একাধিক বীমাকারীর সাথে আলাদা আলাদা বীমাচুক্তি করেন, তবে তাকে যুগ্মবীমা বা দ্বৈত বীমা | Double Insurance) বলা হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, শাহীন আকতার তার জীবনের জন্যে ‘ক’ কোম্পানীর সাথে ২ লক্ষ টাকার এবং ” কোম্পানীর সাথে ১ লক্ষ টাকার জীবন বীমাপত্র গ্রহণ করলেন। এটি একটি যুগ্মবীমা । এক্ষেত্রে উভয় কোম্পানীর কাছ থেকেই নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটলে বা নির্দিষ্ট সময়ান্তে মোট ৩ লক্ষ টাকা ( ২লক্ষ + ১লক্ষ) টাকা বীমাদাবীই লাভ করবেন।
আবার, মনিরুল ইসলাম তার একটি মেশিনের জন্যে ‘ক’ ও ‘খ’ কোম্পানীর সাথে বীমাচুক্তিতে আবদ্ধ হলেন এবং উভয় ক্ষেত্রে বীমাকৃত অর্থের পরিমাণ যথাক্রমে ৪,০০০ টাকা ও ৮,০০০ টাকা। হঠাৎ এক দুর্ঘটনার ফলে মেশিনটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলো এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হলো ৩০০০ টাকা। ‘মনিরুল ইসলাম’ উভয় কোম্পানীর কাছ থেকে ( ৩০০০+৩০০০) = ৬,০০০ টাকা আদায় করতে পারবেন না।

তিনি নিয়মানুযায়ী মোট ৩০০০ টাকাই ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন এবং বীমাকারীগণের প্রত্যেকে বীমার চুক্তি মোতাবেক আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন। কেউ নিজ অনুপাতের অধিক প্রদান করলে অন্য বীমাকারীর কাছ থেকে আনুপাতিক অংশ (Contribution) আদায় করবেন। ক্ষতির পরিমাণ যদি বীমাকৃত টাকার বেশী হয়, তবুও তিনি তার চেয়ে বেশী আদায় করতে পারবেন না।
সাধারণতঃ জীবন বীমার ক্ষেত্রে যুগ্মবীমা অধিক প্রচলিত এবং লাভজনক। কিন্তু, ক্ষতিপুরণের চুক্তির ক্ষেত্রে—যেমনঃ নৌ-বীমা, অগ্নিবীমা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বীমাগ্রহীতার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, শুধু ততটুকুই বীমাকারীর কাছ থেকে আদায় করতে পারেন।
আরও দেখুনঃ