সম্পত্তিবীমার ক্ষেত্রে প্রদত্ত বীমাপত্রসমূহ – পাঠটি “বীমা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ের “ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা” অধ্যায়ের একটি পাঠ। বীমা হল অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট ঝুঁকির স্থানান্তর। এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা বীমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়ামের) বিনিময়ে মক্কেলের আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটি অনিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ।
সম্পত্তিবীমার ক্ষেত্রে প্রদত্ত বীমাপত্রসমূহ
সম্পত্তি বীমার মূল দু’টি শ্রেণীভেদ হলো নৌ-বীমা ও অগ্নিবীমা। নৌ-বীমায় রয়েছে সমুদ্রযাত্রা ভিত্তিক বীমাপত্র, সময় ভিত্তিক বীমাপত্র, মিশ্র বীমাপত্র, মূল্যায়িত বীমাপত্র, অ-মূল্যায়িত বীমাপত্র, ভাসমান বীমাপত্র, যুগ্ম বীমাপত্র ইত্যাদি। এর প্রত্যেকটিই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। আবার, অগ্নিবীমার ক্ষেত্রে রয়েছে মূল্যায়িত বীমাপত্র, অমূল্যায়িত বীমাপত্র, গড়পড়তা বীমাপত্র, বিনিদ্দিষ্ট বীমাপত্র, ভাসমান বীমাপত্র, ঘোষনা বীমাপত্র, সমন্বয়যোগ্য বীমাপত্র, বাড়তি বীমাপত্র, টাযুক্ত সর্বাধিক মূল্যের বীমাপত্র, পুনঃস্থাপন বীমাপত্র, সম্মিলিত বীমাপত্র, আনুষঙ্গিক ক্ষতি বীমাপত্র ইত্যাদি।

এছাড়াও, অন্যান্য অনেক ধরনের বীমা রয়েছে। যেমন : শস্য বীমা, গবাদিপশু বীমা, বিমান বীমা, দুর্ঘটনা বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, ধার বীমা, প্রকৌশল বীমা, চৌর্য বীমা, ডাকঘর জীবন বীমা, সরকারী কর্মচারী বীমা, মালিকের দায় বীমা, রপ্তানী বীমা, বিশ্বস্ততা বীমা, যানবাহন বীমা, শিল্প বীমা ইত্যাদি।
এভাবে একদিন যে বীমা ছোট চাড়া গাছটির মত জন্মলাভ করেছিল দুর্বোধ্য পরিচয়ে, আজ তা বিশাল এক মহীরুহ হয়ে ছায়া বিস্তার করেছে সমগ্র সভ্যতা জুড়ে। মানুষের জীবনে বিশেষতঃ কারবারী ক্ষেত্রে আজ বীমার ভূমিকা একান্তই অপরিহার্য! বীমা ছাড়া যেন বৃহদায়তন কারবারের বিশেষতঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কথা ভাবাই যায় না। সুতরাং, মানুষ তার জীবন ও সম্পদ-সম্পত্তির জন্যে যেসব বিপদ-বিপর্যয়ের সম্মুখীন, সেগুলো মোকাবেলা করার জন্যে বীমা মুলতঃ উপরোক্ত বিভিন্ন ধরনের বীমাপত্র প্রচলন করেছে। এছাড়াও ইদানিং গ্রহণ করছে বিভিন্ন পরামর্শমূলক, জনকল্যানমুখী ও সেবাধর্মী কার্যক্রম ও প্রকল্প।
আরও পড়ুনঃ